Wednesday, August 10, 2011

Karukaje || Panjabi || কারুকাজে || পাঞ্জাবি

Photobucket
ঈদের সকাল পুরোটাই থাকে পাঞ্জাবির দখলে। ঈদের নামাজের জন্য পাঞ্জাবি তো পরতেই হয়, এ ছাড়া অনেকে দিনের অন্য সময়েও পাঞ্জাবি পরেন।বাজারে এবার আছেভিন্ন ধাঁচের পাঞ্জাবি—কোনোটা কারুকার্যময়, আবার কোনোটা সাধারণ। তরুণদের পছন্দ সাধারণ এবংজাঁকালো—দুই রকমের পাঞ্জাবিই।রঙের বাহার তো থাকছেই। বাজার ঘুরে দেখা গেল, পাঞ্জাবির কারচুপির কাজ হয়েছে বেশি। আমাদের দেশজ রাজশাহী সিল্ক, অ্যান্ডি কাপড়—এগুলো চলছে। হাতের কাজের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে যান্ত্রিক কারুকাজের পাঞ্জাবি। যন্ত্রের কাজ করা পাঞ্জাবির দাম কম। আর নকশার ভিন্নতার ফলে এসেছে নতুনত্ব। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তরুণদের পছন্দ খাটো বা শর্ট পাঞ্জাবি। খাটো পাঞ্জাবিগুলোর কাট ও কারুকাজে এসেছে ভিন্নতা। শরীরের সঙ্গে লেপ্টে থাকা খাটো পাঞ্জাবির নাম ‘শর্ট বডিফিট’। আবার যাঁদের একটু ঢিলেঢালা পছন্দ, তাঁদের জন্য আছে লুস বডিফিট। কাট যেমনই হোক, পাঞ্জাবিতে আছে কারচুপির সূক্ষ্ম কাজ।

Tuesday, August 9, 2011

Karukaje || Panjabi || কারুকাজে || পাঞ্জাবি 2

Photobucket
আড়ং
সিল্ক, মসলিন, কটন, অ্যান্ডি, ধুপিয়ান, তসরসহ দেশি কাপড়ের ওপর এমব্রয়ডারি, অ্যাপলিক ও হাতের কাজের সুনিপুণ বুনন। কার্পেটও টুইন থিমের উপস্থাপন।

Photobucket
বাংলার মেলা
বাংলার মেলার পণ্য উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এমদাদ হক জানালেন, পাঞ্জাবিতে জয়শ্রী সিল্ক, অ্যান্ডি, কটন, খাদি ও তাঁতে নিজস্ব বুননে ডবি মাল্টি স্ট্রাইপ—এসব উপকরণে করা হয়েছে লম্বা, মাঝারি ও খাটো দৈর্ঘ্যের ট্রেন্ডি পাঞ্জাবি। ফুলেল, জ্যামিতিক ইত্যাদি নকশায় কারচুপি, মেশিন এমব্রয়ডারি, কাঁথা ভরাট, শেডওয়ার্ক, গিঁট কাজে জয়শ্রী ও অ্যান্ডি পাঞ্জাবিতে থাকছে অনেক ডিজাইন। এ ছাড়া খাটো দৈর্ঘ্যে ভিন্ন ভিন্ন নেকলাইনে করা হয়েছে ট্রেন্ডি পাঞ্জাবি। সুতি সাদা ও অ্যান্ডিতে কাঁথা ফোঁড় ও ভরাট শেডওয়ার্কের কাজ।
Photobucket
কে ক্র্যাফট
কে ক্র্যাফটের পরিচালক খালিদ মাহমুদ খান জানালেন, এ বছর বেশ কিছু নতুন ডিজাইন ও স্টাইলের পাঞ্জাবি করেছেন তাঁরা। তরুণ ক্রেতাদের জন্য থাকছে খাটো পাঞ্জাবি। কাট, প্যাটার্ন ও উপস্থাপনায় বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এ পাঞ্জাবিগুলোতে রং ও বিন্যাসে চম ৎ কারিত্ব। নতুনভাবে সংযোজিত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের মেটাল। কাট, ফিনিশ, অলংকরণ কাজের বৈচিত্র্য ও নিপুণতায় সমৃদ্ধ এ পাঞ্জাবি সংগ্রহে খাদি, সুতি ও অ্যান্ডি ব্যবহূত হয়েছে। মেরুন, নীল, ফিরোজা সবুজ, বটল গ্রিন, চকলেট, ব্রিক রেডসহ প্রায় ২০টি রং।
Photobucket
প্রবর্তনা
প্রবর্তনার পরিচালক শাহিদ হোসেন জানালেন, পাঞ্জাবির বিশেষত্ব রঙের ক্ষেত্রে। প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করা হয়েছে।
Photobucket
অঞ্জন’স
সুতি, সিল্ক, অ্যান্ডি সুতি, অ্যান্ডি সিল্ক কাপড়ে হ্যান্ড এমব্রয়ডারি। এমব্রয়ডারি ও কাটিং বেজড ডিজাইনের পাঞ্জাবি করা হয়েছে এই আয়োজনে।
লম্বা, সেমি লং ও খাটো—এ তিন ধরনের পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে।
Photobucket
ক্যাটস আই মনসুন রেইন
ক্যাটস আই ও মনসুন রেইনেও রয়েছে পাঞ্জাবির বড়সড় সংগ্রহ। ক্যাটস আই ও মনসুন রেইনের সব শাখায়ই পাঞ্জাবি রয়েছে।
রঙ
সেলফ কালারের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যেমন—লালের ওপর লাল সুতার কাজ, সাদার ওপর সাদা সুতার কাজ ইত্যাদি। এ ছাড়া সেলফ সুতার লাইট ও ডিপ কালার ব্যবহার করা হয়েছে একই পোশাকে। আর সবকিছুর সঙ্গেই রঙের বৈশিষ্ট্য উজ্জ্বল রঙের ট্রেন্ড বা ধারা বজায় রয়েছে।
পাঞ্জাবিতে বিভিন্ন ধরনের নকশা ব্যবহার করা হয়েছে। ব্লক, স্প্রে, টাইডাই, স্ক্রিন প্রিন্ট—এগুলো মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া অ্যাপলিক, এমব্রয়ডারি, কারচুপি, আড়ি, হাতের ভরাটকাজ, লেইস, কাতানপাড় প্রভৃতি ব্যবহার করে ভিন্ন এক নান্দনিকতার রূপ দেওয়া হয়েছে।

নিত্য উপহার
নিত্য উপহারের স্বত্বাধিকারী বাহার রহমান জানালেন, বড়দের পাশাপাশি ছোটদের জন্য পাওয়া যাবে নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রম ও নরসিংদী তাঁতের কাপড়ে স্ক্রিন প্রিন্ট, হাতের কাজের মিশেলে এর পাঞ্জাবি।
আর এসব পোশাকে মোটিফ ব্যবহার করা হয়েছে পুরাকীর্তি, স্থাপত্য, নকশা এবং তরুণ ও অগ্রণী শিল্পীদের কাজ থেকে। উ ৎ সবের উপযোগী রঙের ব্যবহারে নিজস্ব ধারাও স্টাইল উঠে এসেছে।

ওটু
পাঞ্জাবিতে থাকছে অনেক বেশি সুতার কাজ। কারচুপি ও সুতার সমন্বয় থাকছে। ওয়াশ ও মিক্সম্যাচের সমন্বয়। কাটিংয়ে রয়েছে ভিন্নতা। জামেবাহার বা জারদারির কাজও থাকছে । এক্সক্লুসিভ সেমি পাঞ্জাবি, টুন ফিট, শর্ট পাঞ্জাবি প্রভৃতি। বাহারি বোতাম থাকছে পাঞ্জাবিতে।

লুবনান
দেশীয় ঐতিহ্য, কৃষ্টি আর সংস্কৃতির সমন্বয়ে লং ও শর্ট পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে স্লিম ফিট কাটে বাহারি নকশা করা হয়েছে। তাঁতের সুতি, রাজশাহী সিল্ক, অ্যান্ডি সিল্ক, অ্যান্ডি সুতি কাপড়ে করা হয়েছেএমব্রয়ডারি, কারচুপি। পাঞ্জাবি ছাড়াও রয়েছে ওড়না ও পাজামা। চুড়িদার, সেমি চুড়ি, প্লেন কাট ইত্যাদি।তরুণদের জন্য পাঞ্জাবিতে কলার, কাঁধের দুই পাশে এবং কলার থেকে বুকের দিকে সরু করে কারচুপি ও এমব্রয়ডারির সমন্বয়ে ডিজাইন করা হয়েছে।

সাদা কালো
ফ্যাশন হাউস সাদা কালোর ডিজাইনার তাহসিনা শাহীন জানালেন, সাদা কালো রঙের ওপর ‘ফুলেল’ শিরোনামের পাঞ্জাবি থাকছে এবার সাদা কালোর ঈদ আয়োজনে। দেখা ও না দেখা ফুল নানাভাবে পোশাকে তুলে আনা হয়েছে। কখনো ব্লকপ্রিন্টে, কখনো স্ক্রিনে, কখনো কারচুপিতে, কখনো মেশিন এমব্রয়ডারি অথবা হ্যান্ড এমব্রয়ডারি।

সাদা, কালো, লালে কনা

Photobucket

ঈদের আগে থেকেই বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানের শুটিং করতে হয় সংগীতশিল্পী কনাকে। তাই নতুন নতুন পোশাকগুলো পরতে হয়ে। এ কারণেই কনা ঈদের বেশ আগেই পোশাক তৈরি করে নেন। সাধারণত তাঁর বান্ধবীর বুটিক হাউস উইন্ডো থেকেই কেনাকাটা করেন। পছন্দসই পোশাক বানিয়েও নিতে পারেন যেমন, তেমনি ডিজাইনটাও করে নিতে পারেন ইচ্ছেমতো।
এবারের ঈদের দিনে কনা পরবেন সালোয়ার কামিজ। সার্টিন কাপড়ে সাদা-কালোর ডোরাকাটায় তৈরি হবে তাঁর সালোয়ার কামিজ। বললেন, ‘কামিজের বোতামগুলো কিনে বসিয়ে নিয়েছি। বর্ডারে আছে লাল রঙের কাপড়। আর সালোয়ারটি ক্যাপ্রি ধরনের। জুতা কিনেছি ক্যাটস আই থেকে। কালো রঙের হাই হিল। কালো হিলের সঙ্গে লাল ফিতাও থাকছে।’
কনা গলায় কিছু পরেন না। ‘মাথার চুলটা ব্লো করে বসিয়ে দিতে ভালো লাগে আমার। কানে থাকবে হীরার দুল। দুই হাতের দুই আঙুলে জামার সঙ্গে মিলিয়ে দুটি আংটি পরব। একটিতে কালো রঙের পাথর অন্যটিতে লাল রঙের পাথর আছে। শ্রীলঙ্কা থেকে নিয়ে এসেছিলাম পাথর দুটি।’ ঈদের দিন বাইরে গেলে কনার সবকিছুই ম্যাচিং করা থাকে। বাসায় থাকলে সুতির একটা পোশাক হয়তো পরে থাকেন। তবে ঠোঁটে থাকে হালকা লিপস্টিক। এর চেয়ে বেশি সাজুগুজু করা হয় না তাঁর।

Monday, August 8, 2011

 কোঁকড়া চুল সোজা চুল

Photobucket

কোঁকড়া চুলের মোহময়ী খেলা
কোঁকড়া চুলের সৌন্দর্যই অন্য রকম। একটু অগোছালো করে কাটলেও খারাপ লাগে না দেখতে। স্টেপ ও লেয়ার একসঙ্গে, আনইভেন কাট, শুধু স্টেপকাট কোঁকড়া চুলে মানানসই বেশ।

গোল মুখের সঙ্গে
পেছন থেকে স্টেপটি ইউ শেপ করে কাটলে সামনের দিকটাও একটু ছোট হয়ে যাবে। এ ছাড়া স্ট্রেট লাইভ করেও কাটতে পারেন।

স্কয়ার অথবা পানপাতা চেহারায়
এ ধরনের চেহারায় স্টেপ কাটটি ভালো লাগবে। পেছনের কাটটি ভি শেপ করলে ভালো হয়।

লম্বাটে চেহারায় মানানসই
কানের লতি বরাবর সামনের দিকে ব্যাংগস কাট মানাবে। এ ছাড়া স্টেপ কাটও চলতে পারে। সামনের ব্যাংগসটুকু আয়রন করে নিলে ভিন্ন লুক আসবে। চুল কাটার কাজটি সাত দিন আগে করে নিলেই ভালো হয়। কারণ, চুল সেট হতেও কিছুটা সময় লাগে বৈকি। ঈদের তিন-চার দিন আগে পারলারে গিয়ে হেয়ার ট্রিটমেন্ট, প্রোটিন ট্রিটমেন্ট অথবা হেয়ার স্পা করিয়ে নিতে পারেন। এতে চুলে ঝলমলে ভাব আসবে।

Photobucket

সোজা চুলে কারসাজি
লম্বা সোজা চুলে মানিয়ে যায় অনেক কাটই। এ মুহূর্তে সোজা চুলের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাট হচ্ছে ইমু কাট। তবে এটি বেশি মানানসই হবে কিশোরীদের জন্য। যাঁরা কিশোরী বয়সকে পেছনে ফেলে এসেছেন, তাঁদের জন্য আছে লেয়ার ও ভলিউম লেয়ার। যদি একটু আলাদা কিছু করতে চান, তাহলে ইমু ও লেয়ার কাটটি করতে পারেন।

গোল মুখে মানানসই
চুল ঢেকে রাখবে চেহারার দুটি পাশ। গোল মুখের অধিকারীদের এ বিষয় মাথায় রাখতে হবে চুল কাটার সময়। এতে চেহারায় কিছুটা লম্বাটে ভাব আসবে। এ জন্য চিন বা চোয়াল থেকে লেয়ারের কাটটি দেওয়া উচিত। পেছনের অংশের চুল চার কোনাভাবে কাটলে দেখতে ভালো লাগবে। এ ছাড়া এ মুখের ধাঁচে অল অভার লেয়ার করলেও বেশ লাগবে দেখতে।

লম্বাটে মুখের কাট
লম্বাটে মুখে ব্যাংগস ও অ্যাংগেল ফ্রেঞ্চ মানাবে বেশ। পাশাপাশি তো ভলিউম কাট আছেই। চেহারায় লম্বাটে ভাব একটু কমে আসবে। চুলের পেছনের কাটে ভি (তিন কোনা) আকার ছাড়া অন্য যেকোনো কাট ভালো লাগবে।

চার কোনা ও পানপাতা মুখের জন্য
এ ধরনের চেহারার জন্য চুল কাটানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে। লেয়ার কাট শুরু হবে চোখ বরাবর অথবা চোয়ালের নিচে থেকে। লেয়ারের সঙ্গে ফ্রন্ট স্টেপ যোগ করতে পারেন। পেছনের কাটটি ভি অথবা ইউ শেপে কাটলে দেখতে মন্দ লাগবে না। এ ছাড়া আনইভেন করে লেয়ার অথবা স্টেপ আকারে কাটলেও চেহারার কিছুটা অংশ ঢাকা থাকবে। এতে দেখতে ভালো লাগবে।

Eid Fashion 2011

Photobucket
Photobucket
Photobucket
Photobucket
Photobucket
Photobucket
Photobucket
Photobucket
Photobucket
Photobucket

Cotton gauze daradama || গজ কাপড়ের দরদাম

Photobucket


ঈদের আনন্দকে বাড়িয়ে দেয় নতুন পোশাক। অনেকেই তৈরি করা কেনা পোশাকের চেয়ে পছন্দ করেন বানিয়ে নেওয়া পোশাক। কাপড় কিনে ফরমায়েশ করে মনের মতো নকশায় বানিয়ে পোশাক পরতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বেশি।
মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, শবে বরাতের পরই জমে উঠেছে গজ কাপড়ের দোকান। ঈদের আগেভাগে কেনাকাটা সেরে নিতে ব্যস্ত কর্মজীবী ফারিবা আখতার। গজ কাপড়ের বাজার ঢাকার চাঁদনী চক ঘুরে মনমতো কাপড় কিনলেন। ফারিবা বলেন, ‘নিজের পছন্দমতো কাপড় পরতে গেলে গজ কাপড়ই ভরসা। বর্ষা হলেও গরমের ভাব আছে, তাই সুতি কাপড় কিনলাম। ঈদের জন্য জমকালো পোশাক একটা না থাকলে কি চলে? তাই কিনলাম চিকেনের কাজ করা কাপড়।’
রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের গজ কাপড়ের দোকান ‘নন্দিনী ফ্যাশন’-এর ব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গরম বেশি বলে সুতি কাপড় বেশি চলছে। ভারতীয় এবং কিছু চীনা প্রিন্টেড গজ কাপড় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় কাপড়ের বহর আড়াই হাত হয়। তাই জামা বানাতে কাপড় কিছুটা বেশি লাগে। অন্যদিকে চীনা কাপড়ের বহর বেশি হওয়ার কারণে কম কাপড়েই জামা বানানো যাবে।’ এবারের ঈদে কাতান আছে দুই ধরনের, সুতি কাতান আর সিনথেটিক কাতান কাপড়। সুতি কাতান কেনা যাবে গজপ্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে। আর সিনথেটিক কাতান কেনা যাবে ৩৫০ থেকে দুই হাজার টাকা দরে। মূলত দামের এত ফারাক হয় সুতা আর নকশার কারণে। জর্জেট কাপড়ের ওপর জরির কাজ করা কাপড় কেনা যাবে এক হাজার ৬০০ টাকা গজ দরে। অরগেন্ডি কাপড়ের ওপর সুতা আর চুমকির নকশা করা কাপড় কেনা যাবে গজপ্রতি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। প্রতি গজ জুট কটন কাপড় কেনা যাবে ৪০০ টাকা দরে। মুম্বাই বুটিকসের কাপড় কেনা যাবে গজপ্রতি ৭৫০ টাকা দরে। চুমকির কাজ ছাড়াও উলের কাজ করা বুটিকসের কাপড় কেনা যাবে ৬৫০ থেকে ৯০০ টাকা গজ দরে। সুতির মধ্যে ভারতীয় চিকেন কাপড়ের গজ কেনা যাবে ৪৫০ টাকা দরে। পিওর কাপড়ের ওপর জরির কাজ করা কাপড় কেনা যাবে ৫০০ টাকা গজ দরে। আছে টু-পিস কাপড়। অর্থা ৎ , জামা আর একই রকম ওড়নার কাপড়। পাতলা সুতির ওপর অ্যামব্রয়ডারির কাজ করা জামার কাপড় কেনা যাবে ৬৫০ টাকা গজ দরে। একই ধরনের নকশা করা জর্জেট কাপড়ের ওড়নার গজটাও একই। তবে জামা আর ওড়নার টু-পিস সেট কেনা যাবে দুই হাজার ৬০০ টাকায়।
চাইলে সেলাই ছাড়া থ্রিপিস কিনে পছন্দমতো বানিয়ে নেওয়া যাবে। দেশি ও বিদেশি সেলাই ছাড়া থ্রিপিস কেনা যাবে এক হাজার ৫০০ থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে।
দেশি সিল্কের আভিজাত্য সব সময়ই অমলিন থাকে। রাজশাহীর সিল্ক কেনা যাবে গজপ্রতি ২৮০ থেকে ৫০০ টাকা দরে। সিল্কের ওড়না কেনা যাবে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে।

Lace thong || লেইস ফিতা

Photobucket


সবার থেকে আলাদা। ঈদের পোশাকটা হওয়া চাই এমনই। সাদামাটা পোশাকের পাশাপাশি বাহারি নকশাও দরকার। পোশাককে জমকালো এবং সবার থেকে আলাদা করতে লেইসের জুরি মেলা ভার। ঈদের লেইস বাজারের দোকান ঘুরে দেখা যায়, পোশাককে আলাদা করতে কেবল লেইসই নয়, আছে চুমকি, ডলার, পাথর আর জামায় বসানোর জন্য ইয়কের ডিজাইন।
ঢাকার ইস্টার্ন মল্লিকার লেইসের দোকান ‘এম এস মাম্মি’র ব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ নির্ঝর খান বলেন, এখন লেইসের চাহিদা খুব বেশি। কারণ, যাঁরা ঈদে পোশাকটা বানিয়ে নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাঁদের পোশাকে লেইস ব্যবহারেই ঝোঁকটা বেশি থাকে। লেইসের ডিজাইন, লেইস তৈরির উপাদান আর রঙের মধ্যে এসেছে নানা বৈচিত্র্য। বাজারে দেশি লেইসের সঙ্গে ভারতীয়, চীন আর থাইল্যান্ডের লেইস পাওয়া যাচ্ছে। তবে পার্থক্য করা যায় অনায়াসেই। ভারতীয় লেইসের জমকালো ভাবটা রঙের ব্যবহারে। অন্যদিকে, চীন আর থাইল্যান্ডের লেইসে হালকা রং ও বেশি চুমকির ব্যবহার থাকে। এবারের ঈদের বিশেষ আকর্ষণ হলো ঝুল। ওড়নার চারপাশে কিংবা জামার গলায় এক পাশে অনায়াসেই কাঠ আর পুঁথির ঝুল ব্যবহার করা যায়। একই আকৃতির রেশমি সুতার টারসেল ব্যবহার করা যাবে জামায়।
লেইসের ব্যবহার এখন কেবল জামার মধ্যেই নয়, বাদ যাচ্ছে না ওড়নার চারপাশ কিংবা সালোয়ারের নিচে। চাইলে পাজামার নিচের অনেকটা অংশ জুড়েই চওড়া লেইস বসিয়ে দিতে পারেন। এতে পাজামায় আসবে নতুনত্ব। আবার শাড়ির পাড়ে কিংবা আঁচলের বড় একটা অংশ জুড়েও লেইস বসানো যায়।
বিবিয়ানার স্বত্বাধিকারী লিপি খন্দকার বলেন, একসময় মায়েরা সন্তানের পোশাকে বৈচিত্র্য আনতেই হাতে কুর্শিকাটার কাজ করে পোশাকে ব্যবহার করতেন। বর্তমানের ফ্যাশন ট্রেন্ড মায়েদের কষ্ট লাঘব করে দিয়েছে। এখন চাইলেই বাহারি লেইস কিনে পোশাকে বসিয়ে দেওয়া যাচ্ছে। আর একটু আলাদা পোশাক মানেই লেইসের ব্যবহার হবে না, তা হয় না।
কাতানের লেইসের দাম নির্ভর করে কত পরত জরি-সুতা দিয়ে কাজ করা, তার ওপর। মোটা আর চিকন কাতানের লেইস কেনা যাবে গজপ্রতি ২০ থেকে ৭০ টাকা দরে। চীন আর থাইল্যান্ডের তৈরি হালকা রঙের কাপড়ের ওপরে বেশি চুমকির কাজ করা লেইসের দাম পড়বে গজপ্রতি ৫০ থেকে ২০০ টাকা দরে। শাড়ি ও ওড়নার চারপাশে ব্যবহারের জন্য এই লেইস খুব বেশি চলে। পাথর আর কড়ি দিয়ে ডিজাইন করা লেইস কেনা যাবে গজপ্রতি ১০০ টাকা দরে। কুর্শিকাটার ওপরে রিবনের কাজ করা লেইস কেনা যাবে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা দরে। নেটের লেইস কেনা যাবে ১০ থেকে ৫০ টাকা গজ দরে। টিস্যু কাপড়ের লেইস কেনা যাবে ৩০ থেকে ৬০ টাকা গজ দরে। চিকন আর মোটা আকারভেদে রিবনের লেইস কেনা যাবে ৫ থেকে ১০ টাকা দরে। শার্টিন কাপড়ের লেইস কেনা যাবে ১৫ থেকে ৫০ টাকা গজ দরে। চুমকির লেইস কেনা যাবে ১০ থেকে ২০ টাকা দরে। কুর্শিকাটার লেইস কেনা যাবে ১০ থেকে ৮০ টাকা দরে।
প্রতিটি ডলারের দাম পড়বে দুই থেকে পাঁচ টাকা দরে। চুমকি তোলা কেনা যাবে ১০ থেকে ৬০ টাকা দরে। পাথর আঠা দিয়ে কিংবা ইস্ত্রির তাপ দিয়ে বসিয়ে নিতে পারেন। কেনা যাবে প্রতিটি ১০ পয়সা থেকে পাঁচ টাকা দরে। কাঠ আর কড়ির তৈরি ঝুল কেনা যাবে ২০ থেকে ৫০ টাকা দরে। রেশমি সুতার টারসেল কেনা যাবে পিসপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। বিভিন্ন ডিজাইনের ইয়ক কিনতে পারবেন ১৫০ থেকে ২৮০ টাকার মধ্যে। কাঠ আর ঝিনুকের বোতাম ব্যবহারে পোশাকের ভিন্নতা আনা যায়। কেনা যাবে পিসপ্রতি পাঁচ থেকে ১০ টাকা দরে। চাঁদনী চক, গাউছিয়া মার্কেট, ইস্টার্ন মল্লিকা, নিউমার্কেট, পুরান ঢাকার চকবাজার, এমনকি আড়ং থেকে কিনতে পারবেন লেইসসহ পোশাকে ব্যবহূত বাহারি পণ্য।

Eid's || jewelry

Photobucket

এবারের ঈদে লম্বা কামিজ বেশ জাঁকিয়ে এসেছে। দর্জি বাড়ি কিংবা ফ্যাশন হাউস—সব জায়গাতেই লম্বা কামিজের জয়জয়কার। বাজার ঘুরে দেখে এলাম, এই লম্বা কামিজের সঙ্গী হচ্ছে লম্বা লম্বা কানের দুল। সোনা, রুপা, ব্রাসো, কাঠ, কড়ি, পুঁতি উপাদান যা-ই হোক, ফ্যাশন কিন্তু একটাই—লম্বা দুল। এতই লম্বা যে কান থেকে শুরু হয়ে এই দুল শেষ হবে প্রায় কাঁধে এসে। কানের দুল, গলার মালা বা গয়না, যা-ই বলি না কেন, কয়েক পরতের ডিজাইন অথবা একটু বড় ডিজাইন—এই হলো এবারের ঈদে গয়নার ফ্যাশন। কানের দুলে যেমন থাকছে লম্বাটে ভাব, তেমনি গলার গয়না হতে পারে ছড়ানো, লম্বাটে লকেট অথবা তিন, পাঁচ, সাত লহরের মালা। হাতে ব্যাঙ্গেলস বা বালার ব্যবহার তো এখন হাই-ফ্যাশন। শুধু এক রঙের একটি বালাতেই হবে না, চাই তিন-চার রকমের, তিন-চার রঙের বালা।
এবারের ঈদ ফ্যাশনে গয়না হবে মূলত দুই ধারার। ফ্যাশন বা কস্টিউম গয়না এবং গতানুগতিক গয়না—জানালেন ফ্যাশন ডিজাইনার মাহিন খান। তাঁর কাছ থেকে জানা গেল, ফ্যাশন গয়নায় এবার থাকছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে ব্রাসো, ইমিটেশন, কাঠ, কড়ি, পুঁতি, সুতা, শেল ও সিরামিক। এই বিভিন্ন উপাদানে তৈরি ফ্যাশন-গয়নায় থাকবে রঙের বৈচিত্র্য, অনেক রঙের সমন্বয়—এই হলো ফ্যাশন গয়নার মূল থিম। একটু লক্ষ করলে দেখা যাবে, মূলত আদিবাসী রং মাথায় রেখেই সবাই এ ধরনের গয়নার নকশা করছেন। তবে রং বা নকশা যা-ই হোক না কেন, এই গয়নায়ও প্রাধান্য পাবে বড় এবং লম্বাটে আকৃতি। কানের দুল যেমন হবে অনেক বড়, তেমনিভাবে গলার মালাতেও থাকবে কয়েকটি লহর। দেখা যাবে মালায় বিভিন্ন ধরনের পুঁতি ব্যবহার করলেও মালার এক পাশে বিশেষ নকশা থাকবে। হয়তো একটু বড় পাথর অথবা লক্ষণীয় কোনো নকশা। গোল নকশা বা নকশায় রিংয়ের প্রভাব লক্ষ করা যাবে। আড়ংয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাসনিম হোসেইন জানালেন, তাঁদের গয়নাতেও এবার তাঁরা প্রাধান্য দিয়েছেন একটু বড় ডিজাইন। একটির সঙ্গে আরেকটি উপাদান মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে কানের দুল ও গলার গয়না। তাসনিম বলেন, ‘আড়ংয়ের এবারের গয়নাসম্ভারে প্রতিটি গয়নাই স্বতন্ত্র নকশার। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে হয়তো একটি কানের দুল পরলেই পরিপূর্ণতা পাবে সাজ। উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে আড়ংয়ের ফ্যাশন জুয়েলারিতে। ব্যবহার করা হয়েছে ব্রাসো, সিরামিক, কাঠ, সুতা, পুঁতি, কড়ি, রুদ্রাক্ষ। আর বিশেষভাবে ব্রাসোতে খোদাই করা কাজ, যা ‘ছিলার কাজ’ নামে পরিচিত তা বেশ প্রাধান্য পেয়েছে। রুপার কানের দুলে বরফি, চার কোনা, গোল—এই ধরনের আকৃতি প্রাধান্য পেয়েছে। সোনার গয়নায় মেশানো হয়েছে পুঁতি ও পাথর।’

Photobucket

গতানুগতিক ধারার গয়নায় মিশ্রণের পরিবর্তন এসেছে। সোনা ও রুপা বা হলদে এবং সাদা সোনার সমন্বয়ে নকশা করা হয়েছে এ ধরনের গয়নায়। মাহিন খানের কাছ থেকে জানা গেল সাদা ও হলদে সোনার পাশাপাশি রোজ গোল্ড বা গোলাপি সোনার প্রাধান্যও দেখা যাবে প্রচলিত গয়নায়। আর প্রচলিত গয়নায় থাকছে মোগল আমলের নকশা। যেকোনো গয়নায়ই পাথরের ব্যবহার লক্ষণীয়। সোনা বা রুপার গয়নায় পাথরের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে পলকি ও কুন্দন। সেই সঙ্গে রুবি, পান্না, সোনালি টোপাজও রয়েছে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায়। মায়াসীর এবারও গোল্ড প্লেটেড রুপার গয়না এনেছে। বিভিন্ন দামি পাথরের পাশাপাশি মুক্তোর ব্যবহারও করা হয়েছে এসব গয়নায়।
প্রচলিত ধাঁচেও ফ্যাশন হাউসগুলো তৈরি করছে ফ্যাশন-গয়না। ফ্যাশন হাউস পিরানের হোসনা বানু জানালেন, তাঁরা ব্রাসোর গয়নায় গিনির নকশা করেছেন। অনেকটা পয়সার মতো আকৃতির এই নকশাকে পুরোনো আমলে গিনির নকশা বলা হতো। তামাটে বা অক্সি রঙে থাকলেও অনেক বেশি প্রাধান্য পেয়েছে ব্রাসোতে সোনালি রঙের গয়না। কানের দুলেও ঝুলানো নকশার গয়না বেশি দেখা যাচ্ছে।
উপাদান যা-ই হোক, ব্রাসো কিংবা সোনা—এগুলো হবে রত্নখচিত। কখনো দামি পাথর আবার কখনো ফ্যাশন পাথরই হবে এবারের ফ্যাশনের ধারা। সব সময়ের মতো এবারের ঈদ গয়নাতেও অনেক বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে গোল্ড প্লেটেড গয়না। অ্যারাবিয়ানসের ব্যবস্থাপক সন ৎ হাজরা জানালেন, এবারের ঈদের গয়নার বেশির ভাগ নকশাই পুরোনো আমলের। অনেকটা মোগল সময়ের নকশা। আর এই নকশায় প্রাধান্য রয়েছে সোনালির পাশাপাশি কপার বা অ্যান্টিক রঙের। পাথরের ক্ষেত্রে পলকি কুন্দনের পাশাপাশি থাকছে ডায়মন্ড ডাস্টের ব্যবহার।
কস্টিউম বা ফ্যাশন জুয়েলারির ক্ষেত্রে কমলা, মিষ্টি গোলাপি ও হলুদ—এই ধরনের সব রং ফ্যাশন বলে জানালেন মাহিন খান। মালা বা দুলের পাশাপাশি হাতের বালা ও আংটিও এবারের ফ্যাশন ট্রেন্ড। পাথরের ক্ষেত্রে সব সময়ের মতো এবারও প্রাধান্য পাবে গার্নেট। প্রচলিত গয়নার ক্ষেত্রে সাদা, সোনালি ও গোলাপি বা হোয়াইট, ইয়েলো এবং রোজ গোল্ডই মাতিয়ে রাখবে ক্রেতাদের। অতএব এবারের গয়নায় একদিকে যেমন থাকবে রঙের দাপট, অন্যদিকে কয়েকটি মেটাল রঙের ব্যবহারে পাওয়া যাবে স্নিগ্ধ ভাব।
কস্টিউম বা প্রচলিত ধারার এ গয়নাগুলো কিনতে পাওয়া যাবে ফ্যাশন হাউস আড়ং, মায়াসীর, পিরান, মাদুলি, বনজ বর্ণালী, যাত্রা, দেশাল, অ্যারাবিয়ানস, গয়না ঘর, জেমস গ্যালারি ও মমতে। এ ছাড়া বড় সুপার মলগুলোতেও রয়েছে এ ধরনের গয়নার সম্ভার।

Photobucket

সোনা-হীরা
ঈদ এলেই সোনা কিনতে হবে। এমন ধারণা এখন অনেকের মধ্যেই কমতে শুরু করেছে। এর একমাত্র কারণ সোনার দামের ক্রমশ ঊর্ধ্বগতি। বাজারে এখন সোনার আনুমানিক দাম ১৮ ক্যারেট ৪৭ হাজার টাকা, ২১ ক্যারেট ৫০ হাজার টাকা ও ২২ ক্যারেট ৫২ হাজার টাকা। তার পরও সোনার গয়নার চাহিদা লক্ষ করা যায় ঈদ এলেই। এবারের ঈদেও তাই সোনার নকশায় পুরোনোর ছোঁয়া এসেছে। সেই সঙ্গে শুধুই হলদে সোনা নয় বরং সাদা ও গোলাপি সোনারও প্রাধান্য রয়েছে। সোনার গয়নায় মুক্তো ব্যবহার হচ্ছে সব সময়ের মতোই। তবে সোনার গয়নায় হাই-ফ্যাশন এখন পলকি ও কুন্দনের।
হীরার গয়নাও কয়েক বছর ধরে নজর কেড়েছে বাঙালির। ছোট ছোট নকশার হীরার গয়না এখন ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। হীরার গয়নার ক্ষেত্রে নাকফুলের দাম শুরু সাত হাজার টাকা থেকে। কানের দুল ২৫ হাজার, লকেট ২০ হাজার এবং পুরো সেট লাখ টাকার কিছু কম বা বেশি হবে। হীরার গয়না পাওয়া যাবে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, ডায়া গোল্ড, জড়োয়া হাউসের মতো গয়নার দোকানগুলোয়।